ভালুকা ও হালুয়াঘাটে কমলার চাষ শুরু

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও হালুয়াঘাট উপজেলায় সম্ভাবনাময় কমলার চাষ শুরু হয়েছে। এ দুটি উপজেলায় ইতিমধ্যে প্রায় ১৮০ একর জমিতে কমলার বাগান করে ৪১ হাজার কমলার চারা লাগানো হয়েছে।
এসব বাগানে চার থেকে পাঁচ বছরের মাথায় ফল ধরবে এবং পূর্ণমাত্রায় ফল ধরলে প্রায় এক হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কমলা উদিত হবে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় আট কোটি টাকা হবে বলে ময়মনসিংহ খামার বাড়ির কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, পাহাড়-টিলা, উঁচু ভূমি ও সমতল ভূমির সুনিষ্কাশিত এলাকা কমলা চাষের জন্য উপযোগী। সে অনুযায়ী ভালুকা ও হালুয়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা কমলা চাষের জন্য সম্ভাবনাময়। সে জন্য স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে কমলা চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে কমলা উত্পাদনের সমস্যা ও সম্ভাবনার ওপর গঠিত টাস্কফোর্সের মতামতের ভিত্তিতে দেশে ১০টি জেলার ৪০টি উপজেলাকে ২০০৬-০৭ সালে কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। এসব স্থানে কমলার ৬০ হাজার প্রদর্শনী বাগান, দুই হাজার ৩০০টি ব্লক প্রদর্শনী, বসতবাড়িতে ৩৫ হাজার বাগান এবং ২২ হাজার ৭০০টি পুরোনো কমলা গাছ পরিচর্যা প্রদর্শনী স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের এক হাজার ৪২০ হেক্টর জমি নতুনভাবে কমলা চাষের আওতায় এনে ৬০ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সরেজমিনে কমলা বাগান পরিদর্শনকালে সম্প্রতি ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁওয়ের কৃষক সিরাজ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ফসল চাষ করতে ভালো লাগছে। আশা করি ভালো ফলন পাব।’ অপরদিকে হালুয়াঘাট উপজেলার গাবরাখালি গ্রামের জালাল মিয়া বলেন, ‘ভালো ফলন পেলে এলাকার কৃষকেরা ভবিষ্যতে পতিত জমিতে বেশি করে কমলা চাষে এগিয়ে আসবেন।’
ময়মনসিংহ খামার বাড়ির কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা সাদেক ইবনে শামছ সম্প্রতি প্রথম আলোকে জানান, ভালুকা উপজেলায় ১১০ একর জমিতে প্রায় ২৫ হাজার কমলার চারা রোপণ করা হয়েছে। আর হালুয়াঘাট উপজেলায় প্রায় ৭০ একর জমিতে ১৬ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো ০৬-১২-২০০৯

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder