পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল ২০১১

জেলা: ময়মনসিংহ,উপজেলা: ভালুকা
পৌরসভা:ভালুকা পৌরসভা,প্রাথীর ধরন:মেয়র
মোট ভোটার: ১৮৯৬২
সর্বমোট ভোটকেন্দ্র: ৯ ফলাফল প্রাপ্ত ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা: ৯

ক্রমিক
নং
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম বরাদ্দকৃত প্রতীক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা
১।
এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন আনারস ৭৭৭৯
২। মোঃ ম ফিজ উদ্দীন স রকার দেওয়াল ঘড়ি ৬৬৫৯
৩।
মোঃ রুহুল আমিন দোয়াত কলম ৪৭১
৪।
মোঃ মুনজুরুল হক জাহাজ ১০


বি: দ্র: শুধুমাত্র প্রথম তিন জন প্রার্থীর ভোটের শতকরা ভাগ এবং বাকী প্রার্থীদের একত্রিত ফলাফল প্রদর্শন করা হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

ভালুকা: মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নেই...

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০১১
মো। মনিরুজ্জামান খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে: সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভালুকা পৌরসভা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল একক প্রার্থী মনোনীত করতে সক্ষম হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে উভয় দল থেকে একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম (আনারস), বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপির সদস্য পর পর দু’বার নির্বাচিত বর্তমান মেয়র আলহাজ মফিজ উদ্দিন সরকার (দেয়ালঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রুহুল আমিন (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে ডা. কাইয়ুম ও মজিফ উদ্দিন সরকারের মাঝে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উভয়ই জয়লাভ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রুহুল আমীনও প্রচারণায় কম যাচ্ছেন না। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। বর্তমান মেয়র আলহাজ মফিজ উদ্দিন সরকার হ্যাটট্রিক জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আটঘাঁট বেঁধে প্রচারণা চালিয়ে গেলেও তার ঘরের শক্রু আপন সম্মন্ধি পুত্র হাজী রুহুল আমীন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম জয়লাভে অনেকটাই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রার্থীদের বিরামহীন ছোটাছুটিতে নির্বাচনী ময়দান এখন সরগরম। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে ক্লান্তিহীন প্রচারণা। চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিদিন তারা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে ভোটাদের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছেন। নিজেদের পক্ষে জনমত তৈরি করতে ভোটারদেরকে শুনাছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির বাণী। প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির বুলি আওড়ানোর সুযোগে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসী প্রার্থীদের কাছে নিজেদের না পাওয়ার ক্ষোভের কথা বলতে ছাড় দিচ্ছেন না। প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ। নির্বাচনকে ঘিরে ভালুকা পৌর শহর এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫.৬২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বিতীয় শ্রেণীর এ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। আগামী ১৭ই জানুয়ারি ভালুকা পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৩৩ হাজার ৭৭৩ জন জনসংখ্যার পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬২ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮৫৫ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ১০৭ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ বাংলার জমিন